Posts

Asking me any thing

  বাঁশগাছকে মানুষ গাছ বলে না। বাঁশঝাড় বলে। ঝাড় হয়েই বাঁশ বেড়ে ওঠে। অনেক ঝাড় মিলে বাঁশ বাগান হয়। মানুষ কবিতা লিখে-বাঁশ বাগানের মাথার ওপর চাঁদ উঠেছে ওই...। শুধু কবিতা নয়। বাঁশ নিয়ে গানও আছে-বাঁশেতে ঘুণ ধরে যদি, কেন বাঁশিতে ঘুণ ধরে না...। কবিতা গান লিখলেও ‘বাঁশ কবি’ বা ‘বাঁশ গীতিকার’ নেই। তবে অনেক কবি কবিতা দিয়ে বাঁশ দিয়েছেন আবার কখনো কবিতাকেই বাঁশ দিয়েছেন। খাবারেও বাঁশ ঢুকে পড়েছে। আবার বাঁশেও খাবার ঢুকেছে। বাঁশের স্যুপ ইয়াম্মি। চীনা-ভিয়েতনামিদের ভীষণ পছন্দ। বাঁশের ভেতর খাবার ভরে রান্না করা এশিয়ার অনেক দেশেই জনপ্রিয়, বিশেষ করে দক্ষিণ ভারতে। মুরগি, সামুদ্রিক মাছ, বিরিয়ানি, ডিম এমন কিছু নেই বাঁশে ভরে রান্না করা যায় না। বাঁশের নামেই তাদের নাম। বাংলায় বললে বাঁশ কাবাব, বাঁশ মুরগি, বাঁশ বিরিয়ানি এমন। বাঁশ দিয়ে ভেলা হয়। সেই ভেলা বাঁশের লগি দিয়েই চলে। গ্রামে যেখানে ব্রিজ নেই, বাঁশ দিয়ে সাঁকো বানায় মানুষ। বাঁশের লাঠি দিয়ে মানুষ মারামারি করে আবার বাঁশের বাঁশিতেই সুর তোলে। বাঁশের বাঁশি ভীষণ ক্ষমতাধর। এক সময় গরু চরানো রাখাল ছেলে বাঁশের বাঁশিতে সুর তুলে রাজকন্যাকে পটিয়ে ফেলত। তবে হ্যামিলনের বাঁশিওয়ালা